সুনামগঞ্জ , বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫ , ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নজির হোসেনের দুর্গ নিয়ে দুই শিষ্যের কাড়াকাড়ি, মনোনয়নে আনিসুল, জনপ্রিয়তায় এগিয়ে কামরুল প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে জটিলতা, আপিল করবে মন্ত্রণালয় ৩০ একর জায়গা দখল করে মৎস্য নিধনের অভিযোগ ১০ মাসে ঢাকায় ১৯৮ হত্যাকান্ড সদর হাসপাতালের কর্মীর ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন সিলেটে ১৯ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ হাওরাঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়নে যুগান্তকারী উদ্যোগ নেয়া হবে : তোফায়েল আহমদ খান কাগজে বাস্তবায়িত হচ্ছে হাওরে ঘাস চাষ সম্প্রসারণ প্রকল্প! শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদন্ড, মামুনের ৫ বছরের কারাদন্ড পথে যেতে যেতে : পথচারী উন্নত দেশ গড়তে ধানের শীষে ভোট দিন : আনিসুল হক একটি মহল নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে : মির্জা ফখরুল সুনামগঞ্জ মুক্ত দিবস ও মহান বিজয় দিবস উদযাপনে সভা তিন বার মেয়াদ বাড়িয়েও শেষ হয়নি আর্চ সেতুর কাজ ছাতকে প্রতিপক্ষের দেয়া আগুনে মুক্তিযোদ্ধার বসতঘর ভস্মিভূত বিএনপি’র চূড়ান্ত মনোনয়নে মাহবুবুর রহমানকে মূল্যায়নের দাবি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি দাসের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন জামায়াতকে মানুষ আর বিশ্বাস করে না, ভোটও দেবে না : মির্জা ফখরুল দেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালায় বিজলী কৃষিকে অন্তর্ভুক্তের দাবি শান্তিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নানা অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা
আমনের বাম্পার ফলন

হাজার কোটি টাকার চাল উৎপাদনের আশা

  • আপলোড সময় : ১৬-১১-২০২৫ ০৮:১৬:৩৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৬-১১-২০২৫ ০৮:১৯:১৩ পূর্বাহ্ন
হাজার কোটি টাকার চাল উৎপাদনের আশা
তানভীর আহমেদ::
চলতি মৌসুমে সুনামগঞ্জে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছেঅনুকূল আবহাওয়া থাকায় এবার ধানের আশাতীত ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। ইতিমধ্যে জেলায় ধান কাটা শুরু হয়েছে।
কৃষি বিভাগ বলছে, এবার চালের হিসাবে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে, যার বাজার মূল্য এক হাজার কোটি টাকারও বেশি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় মোট ৮২ হাজার ৬৫৬ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ঊফশী, হাইব্রিড ও স্থানীয় জাতের ধান রয়েছে। ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা (চালের হিসাবে) নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৬ হাজার ৯৯৭ মেট্রিক টন। উৎপাদিত এই চালের আনুমানিক বাজার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে হয়েছে ১ হাজার ৬৩ কোটি ২৮ লক্ষ ৫৩ হাজার টাকা।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, জেলার মোট আবাদের ১১.৫০ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। কৃষকরা এখন পুরোদমে ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যেই জেলার সকল জমির ধান কাটা সম্পন্ন হবে।
সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন হাওর ও মাঠ ঘুরে দেখা যায়, ধান কাটা ও মাড়াই করে ঘরে তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার কৃষাণ-কৃষাণিরা। বাম্পার ফলনে তাদের চোখেমুখে আনন্দের ছাপ। তবে ধানের ন্যায্য মূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন চাষিরা। তারা জানান, এবার আমনের বীজতলা তৈরি, চারা রোপণের সময় কোনো সমস্যা হয়নি। অন্য বছর আমন আবাদের সময় ভারী বৃষ্টি, বন্যাসহ নানা কারণে বিপাকে পড়েন কৃষক। এবার তেমন সমস্যা হয়নি। যার কারণে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তারা।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের কৃষক ফারুক মিয়া বলেন, এইবার ধানের গাছ খুব পুষ্ট হইছে। পোকা-মাকড়ের আক্রমণও কম আছিল। গত কয়েক বছরের মধ্যে এইবার ভালো ফলন হইছে। ঠিকমতো ধান ঘরে তুলতে পারলে আর ভালো দাম পাইলে আমরা লাভবান হব।
একই গ্রামের আরেক কৃষক সাদিকুল ইসলাম বলেন, হাইব্রিড জাতের ধান লাগাইছিলাম, ফলন খুব ভালো হইছে। আবহাওয়াও ভালা আছিল। এখন ধান কাটা শুরু করছি, আশা কররাম দামটাও ভালো পাইমু। ভালো দাম পাইলে লাভবান হওয়ার সুযোগ আছে।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার কৃষক জুয়েল মিয়া বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর ফলন ভালো হয়েছে। কেয়ার প্রতি ১৯-২০ মণ ধান হইছে। আমি এ বছর ৮ কেয়ার জমিতে ধান লাগাইছি। চলতি সপ্তাহে ধান কাটা শুরু করবো। আশা করি এইবার লাভবান হবো। সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, এবছর আবহাওয়া অনূকূলে থাকায় আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। আমরা শুরু থেকেই কৃষকদের উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত নির্বাচন, সঠিক রোপণ প্রক্রিয়া, সময়মতো জমিতে সার ও কীটনাশক দেওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। পাশাপাশি মাঠপর্যায়ে আমাদের কৃষি কর্মকর্তাগণ কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়ে গেছেন। তিনি আরও জানান, সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলেই এই ভালো ফলন সম্ভব হয়েছে, যা জেলার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি কৃষকদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে।
জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, অনুকূল আবহাওয়া থাকায় এবছর সুনামগঞ্জ জেলায় আমনের ভালো ফলন হয়েছে। এই সফলতার পেছনে সরকারের সময়োপযোগী উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা কৃষকদের জন্য যথাসময়ে সার ও বীজ সরবরাহ নিশ্চিত করেছি, যার ফলশ্রুতিতে কৃষকরা ভালো ফসল ঘরে তুলতে পারছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা কৃষকদের আশ্বস্ত করতে চাই, ধান কাটা ও বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়ায় তাদের যেকোনো সমস্যা সমাধানে জেলা প্রশাসন সর্বদা পাশে থাকবে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে। আমনের ভালো ফলন হওয়ায় জেলার খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স
নজির হোসেনের দুর্গ নিয়ে দুই শিষ্যের কাড়াকাড়ি, মনোনয়নে আনিসুল, জনপ্রিয়তায় এগিয়ে কামরুল

নজির হোসেনের দুর্গ নিয়ে দুই শিষ্যের কাড়াকাড়ি, মনোনয়নে আনিসুল, জনপ্রিয়তায় এগিয়ে কামরুল